কোনো সেই রূপকথার যুগ হতে জেগে থাকা
কোনো সেই রূপকথার যুগ হতে জেগে থাকা
বৃদ্ধো তারা-রা আজ থেকে ছুটি নাও
তুমিও দু-চোখ বুজে
রাতের নরম বালিশে
ক্লান্ত চাঁদ আজ ছুঁয়ে যাও
সবুজ নরম ঘাসেরা
ডুবে যাওয়ার ভয় ভেঙে
জোছনা-রাতের বৃষ্টিরা
ভেসে যাওয়ার ভয় ভুলে
তোমার স্বপ্ন মিশে যাক আজ
জীবনের জল-স্রোতে
হেমন্ত হতে তোমার দু-হাত যখন
রাখবে এ হাতে
তোমার নীলচে স্নেহে কেটে যিয়ে অন্ধকার
মিশবে প্রভাতে
বুঝতে পারিনি এই কোন বাঁড়ে সেই
শরতের সন্ধ্যেতে
তোমায় প্রথম দেখা
বিদেয়ী মা-এর অন্তিম জলছবিতে
তোমার ও নূপুর, সাজাবে আজ পৌষ মেলা
পায়ে আলতা পরে তুমি করবে খেলা
মন খারাপ-ও অলসাদি হয় তোমার কথায়
মৃত ধান খেত-ও সোনা হয়ে যায়
তোমার ছায়ায়
স্বপ্ন ভেজা মেঘেরা
উড়ে যাওয়ার ভয় ভেঙে
অশ্রু ছোঁয়া জনকীরা
নিভে যাওয়ার ভয় ভুলে
তোমার স্বপ্ন মিশে যাক আজ
জীবনের জল-স্রোতে
রণেখুঁদো রোদ দুপুর শেষে
পেয়েছি তোমাকে
হঠাৎ ধেয়ে আসা কালবৈশাখীতে
দেব না আর হারাতে
বুঝতে পারিনি কোন বোড়ে সেই
শরতের সন্ধ্যেতে
তোমায় প্রথম দেখা
বিদেয়ী মা-এর অন্তিম জলছবিতে
কোনো সেই রূপকথার
যুগ হতে জেগে থাকা